ডেস্ক রিপোর্ট: ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে সেনানিবাসের ভেতরে প্রাণ রক্ষায় আশ্রয় গ্রহণকারী ৬শ ছাব্বিশ ব্যক্তিদের বিষয়ে অবস্থান জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
গত বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেনাবাহিনীর এ অবস্থান তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, পরিস্থিতি উন্নয়ন সাপেক্ষে আশ্রয় গ্রহণকারীদের বেশির ভাগই এক–দুই দিনের মধ্যে সেনানিবাস ত্যাগ করেন। এর মধ্যে পাঁচজনকে তাঁদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়,
৫ আগষ্ট পরে সর্বমোট ৬শ ছাব্বিশ জনকে দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিলো। সেখানে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব,বিচারক,সরকারি কর্মকর্তা পুলিশ সহ অনেকই ছিলেন।
সিলেট বিভাগ থেকে সেনানিবাসে ১৬জন ব্যক্তি আশ্রয় নিয়েছিলেন। তারা হচ্ছেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট জেলার ট্রাফিক ডিসি মাহফুজুর রহমান, হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি মো. আবু জাহির, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমেদ সিদ্দিকী, সিলেট বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার মোঃ জুবায়ের হোসেন, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আজবাহার আলী, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিআইজি মো. জাকির হোসেইন খান, গোয়াইনঘাট উপজেলার ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলাম, গোয়াইনঘাটের (এসিল্যান্ড) মো. সায়েদুল ইসলাম, গোয়াইনঘাট সার্কেল (এএসপি) সাহিদুর রহমান, গোয়াইনঘাট থানার (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে (ভিসি) মোঃ জামাল উদ্দিন ভূইয়া, সহকারি আলাউদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ আব্দুল আওয়াল, সিকিউরিটি অফিসার মোঃ আব্দুল রাকিব এবং এনএসআই সদস্য মোঃ তানভির আহমেদ খান।
উল্লেখ সিলেট বিভাগ থেকে মোট ১৬ জন ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে সেনানিবাসের ভেতরে প্রাণরক্ষায় সেনা আশ্রয়ে ছিলেন।
সেনা আশ্রয় নেওয়া সিলেট বিভাগের ১৬জন ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই স্ব স্ব কর্মস্থলে ফিরেছেন, তবে কয়েকজন এখনও আত্মগোপনে রয়েছেন।
নাগরিক ভিউ/ডেস্ক রিপোর্ট,সিলেট।

