আবু রায়হান, মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সামনে দায়িত্বহীনভাবে মোটরসাইকেল পার্ক করে রাখায় এক মুহূর্ষ রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যাক্ষদর্শী রা বলেন, সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ায় প্রাণ হারাতে হলো কাত্তিক চন্দ্র রায় নামের একজন রোগীকে।
সরজমিনে দেখা যায়, ৭ জুন রাত ১০ টার দিকে যশোর হ ১৭-৬০৫৯ নম্বরের একটি মোটরসাইকেল দীর্ঘক্ষণ জরুরি বিভাগের প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে ছিল। তাছাড়া জরুরী বিভাগের সামনে আরো কিছু মোটর সাইকেল পার্ক করা ছিলো।
এ সময় পাচবাড়িয়া কুমারঘাটা গ্রামের আম্বিক চন্দ্র রায়ের ছেলে কাত্তিক চন্দ্র রায় নামে একজন মুহূর্ষ রোগীকে জরুরি বিভাগে নেওয়ার চেষ্টা করলে, ওই বাইকটি সরাতে না পারায় সময়ক্ষেপণ ঘটে। এতে রোগীর অবস্থা আরও সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে জরুরি বিভাগে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুধু কাত্তিক নয়, আরও দুই-তিনজন মুহূর্ষ রোগীকেও জরুরি বিভাগে নেওয়ার পথে একই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
জরুরি বিভাগের প্রবেশপথে এমন দায়িত্বহীন পার্কিং রোগীদের জীবন হুমকির মুখে ফেলছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকে। ঐ সময় জরুরি বিভাগের অন্যান্য রোগীদের মধ্যে ছিলেন রজনী, প্রিয়া খাতুন, সানজিদা, হাদিউজ্জামান, নুসরাত, সাবিনা, তানিয়া, শিমুল ও ইমরান।
পুরো ঘটনা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়েছে । স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও সংশ্লিষ্ট মোটরসাইকেল মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিৎ।
এ ধরনের অসচেতনতা যেন আর কোনো প্রাণ না কেড়ে নেয়, সেজন্য প্রশাসনিক উদ্যোগ জরুরি