![]() |
| ফাইল ছবি/ |
জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের অস্তিত্বের প্রমাণ।
এই অভ্যুত্থান ছিলো একটি ঐতিহাসিক বিস্ফোরণ, যেখানে আমাদের ২ হাজার ভাই শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। শহীদের রক্তে ভেজা এই মাটি, এই ইতিহাস আমাদের গর্ব, আমাদের চেতনা, আমাদের আত্মপরিচয়। আমরা ভুলে যাইনি—যে তরুণেরা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিলো, তারা একটি নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলো; শোষণমুক্ত, সাম্যভিত্তিক, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ।
কিন্তু আজ সেই গৌরবময় অর্জনকে দালাল ও সুবিধাবাদীদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। যারা শহীদদের আত্মত্যাগের মূল্য বোঝে না, তারা ইতিহাসেরও শত্রু।
আমরা এটা মেনে নিতে পারি না। জুলাইয়ের ইতিহাস কোনো ব্যক্তির নয়, কোনো দলের নয়—এটা জনতার, এটা বাংলাদেশের।
আমরা এই ইতিহাসকে রক্ষা করবো, শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করবো। তরুণদের হাত ধরেই দেশ এগিয়ে যাবে। নতুন নেতৃত্ব, নতুন চিন্তা ও ঐক্যের শক্তি দিয়ে আমরা আবার জাগিয়ে তুলবো সেই জুলাই চেতনা—যেখানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামই ছিলো মূল লক্ষ্য।
তাই আসুন, দালালদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। শহীদদের স্বপ্ন—একটি শোষণমুক্ত, ন্যায়ের বাংলাদেশ—গড়ার পথে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাই।
জুলাই মানে আত্মত্যাগ,
জুলাই মানে গণজাগরণ,
জুলাই মানে আমাদের অস্তিত্ব!
কাওসার গাজী.......

