এম. এস. আই শরীফ, ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি:
০৯ আগস্ট ২০২৫
![]() |
| ছবিঃ ভোলাহাট সেতু |
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট ও গোমস্তাপুর উপজেলায় প্রবাহিত মহানন্দা নদীর ফোরামঘাট এলাকায় নির্মাণাধীন সেতুর পাশ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে ১৪ জন সরকারি ও স্থানীয় কর্মকর্তার কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট ২০২৫) হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাতহুল বারী এই নোটিশ প্রদান করেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, সরকারের প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই সেতুটি স্থানীয় মানুষের যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অথচ সেতুর একেবারে সংলগ্ন স্থান থেকে বালু তোলার অনুমতি প্রদান সেতুর স্থায়িত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং নিকটবর্তী এলাকায় নদীভাঙনের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে।
আইনজীবীর দাবি, জেলা বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন ২০২৩-এর ৪(৭) ধারা অনুসরণ না করেই এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়সীমা ৩০ জুন ২০২৫ শেষ হলেও এখনো বালু তোলা অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি শর্ত ভঙ্গ করে কয়েকশত ট্রাক বালু অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে, যা আইনের চোখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
নোটিশে বলা হয়, মহানন্দা নদীর দুই তীরে বসবাসকারী বহু পরিবার গত কয়েক বছরে ভাঙনের কারণে জমি, বাড়িঘর ও ফসলি জমি হারিয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলা হলে নদীভাঙনের গতি আরও তীব্র হবে। স্থানীয়রা বিষয়টি একাধিকবার প্রশাসনকে জানালেও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এ অবস্থায় আইনজীবী ফাতহুল বারী অবিলম্বে সেতুর পাশ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যথায় তিনি জনস্বার্থে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উচ্চ আদালতে রিট আবেদন দায়ের করবেন বলে নোটিশে সতর্ক করেছেন।
নোটিশের প্রাপক হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), পানি উন্নয়ন বোর্ড ও গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, দুই উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি), বাঙ্গাবাড়ী ও দলদলী ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এবং এমএমবিইএল এন্ড এমএমএম জেভি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

