সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে চিহ্নিত জাফলং, বাংলা বাজার ও বালির হাওরসহ আশপাশের নদ-নদীতে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে ,নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন গোয়াইনঘাট উপজেলা শাখার উদ্যোগে জাফলং ও বালির হাওরে পৃথক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, শিক্ষার্থী ও পরিবেশকর্মীরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপজেলা শাখার আহ্বায়ক আজমল হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন ইমন।
বক্তারা বলেন, প্রভাবশালী একটি মহল ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে রাতদিন নদী খুঁড়ে বালু ও পাথর তুলছে, যার ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে, নদীভাঙন তীব্র আকার নিচ্ছে এবং কৃষিজমি, বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়ছে। সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এসব কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
সভাপতির বক্তব্য: “নদী বাঁচলে গ্রাম বাঁচবে, গ্রাম বাঁচলে দেশ বাঁচবে”
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে আজমল হোসেন বলেন,
“আমরা শুধু একটি নদী নয়, গোটা প্রজন্মের ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য লড়ছি। এই নদী আমাদের জীবিকা, আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত। যারা যন্ত্রদানব বসিয়ে নদীকে হত্যা করছে, তারা জাতির শত্রু। প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।”
তিনি আরও বলেন, “এই আন্দোলন কোনো দলীয় নয়, এটি জনমানুষ ও পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন। নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন অতীতেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। নদী বাঁচলে গ্রাম বাঁচবে, গ্রাম বাঁচলে দেশ বাঁচবে—এটাই আমাদের শপথ।”
মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন: সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ গুলজার আহমদ , নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজাদ আহমদ যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ মুন্না, সংগঠক জাবেল আহমদ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও পরিবেশ সচেতন নাগরিকবৃন্দ।
বক্তারা সবাই প্রশাসনের প্রতি দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানান এবং বলেন, “এই অবৈধ সিন্ডিকেট বন্ধ না হলে পরিবেশ বিপর্যয়ের দায় প্রশাসনকেও নিতে হবে।”
সাথেই থাকুন !