Type Here to Get Search Results !

বিছনাকান্দিমুখী পর্যটকদের আগ্রহ কমছে, ধস নামছে ব্যবসায় — দায় গোয়াইনঘাট-সালুটিকর রাস্তার দুরবস্থা।

Abdul Jabbar

 


বিছনাকান্দিমুখী পর্যটকদের আগ্রহ কমছে, ধস নামছে ব্যবসায় — দায় গোয়াইনঘাট-সালুটিকর রাস্তার দুরবস্থা।

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা—যা একসময় প্রকৃতিপ্রেমীদের অন্যতম গন্তব্য ছিল, আজ তা যেনো দুর্ভোগের নামান্তর। জনপ্রিয় পর্যটন স্পট বিছানাকান্দি ও পান্থুমাইয়ের সঙ্গে সংযুক্ত একমাত্র সড়ক ‘সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক’ এখন ভাঙা-চোরা আর গর্তে ভরা। এ সড়কে চলাচল করা মানেই যেন ঝুঁকি, সময় নষ্ট আর বিরক্তির চরমে পৌঁছানো।


ঈদ ও অন্যান্য ছুটিতে যেখানে এসব পর্যটন এলাকায় উপচে পড়া ভিড় দেখা যেত, সেখানে এবার দেখা গেছে হতাশাজনক চিত্র। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, বিছানাকান্দি ও পান্থুমাইয়ে এবার তেমন পর্যটকই আসেনি। পর্যটননির্ভর ব্যবসা মার খাচ্ছে, রেস্টুরেন্ট, হোটেল ও পরিবহন ব্যবসা প্রায় লোকসানের মুখে। অনেকে বলছেন, রাস্তার ভয়াবহ অবস্থা দেখে পর্যটকরা বিকল্প পথ বেছে নিচ্ছেন। ফলে জাফলং, সাদাপাথর, রাতারগুলের মতো তুলনামূলক ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থার এলাকাগুলোতে ভিড় বাড়ছে।


রাস্তার সংস্কারের কিছু কাজ চললেও, তা টেকসই নয়। ঢালাই দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং, তৈরি হচ্ছে ফাটল, কোথাও কোথাও পাথরের কাজই ঠিকমতো হয়নি। এলাকাবাসী বলছেন, প্রকল্প পরিচালকের কখনও সরেজমিন পরিদর্শন না করা এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি।


একাধিক মানববন্ধনে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যদি আগামী ২৪ দিনের মধ্যে কাজ পুরোদমে শুরু করে শেষ না করা হয়, তাহলে আন্দোলনে নামা ছাড়া উপায় থাকবে না।


প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী প্রয়াত এম সাইফুর রহমান এই রাস্তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু দীর্ঘ ৩০ বছরেও এই সড়ক পূর্ণাঙ্গ ও টেকসই রূপ পায়নি। আজ তা শিক্ষা, চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে।


এদিকে যোগাযোগ করা হলে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রকৌশলী হাসিব আহমেদ বলেন, “ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। তবে বিল এবং অর্থায়নের সংকটে কাজের গতি কমে গেছে।

স্টাফ রিপোর্টার  নাগরিক ভিউ 

About Us

সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি: ফয়সল আহমদ