প্রতিবেদক: গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
১৫ জুলাই
![]() |
| ছবি/ শাপলা গেষ্ট হাউজ |
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে ‘শাপলা গেস্ট হাউস’ ঘিরে সম্প্রতি এলাকাজুড়ে আলোচনা ও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই হোটেলে নিয়মিতভাবে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলছে, যা দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাম্প্রতিক এক ঘটনায়, বিকেলের দিকে স্থানীয়রা এক যুবক ও এক তরুণীকে আপত্তিকর অবস্থায় হোটেল কক্ষে আটক করে। পরে তারা কক্ষটি তালাবদ্ধ করে স্থানীয় মসজিদ কমিটির কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তিকে খবর দেয়। তারা জানান, এর আগেও হোটেলটি ঘিরে নানা ধরনের সন্দেহজনক কার্যকলাপের কথা শুনলেও এবার চোখের সামনে ধরা পড়েছে।
ঘোনাপাড়ার বীর প্রতীক লুৎফর রহমান মার্কেটে অবস্থিত এই হোটেলের মালিক সালাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি লজ্জিত। আপাতত হোটেলটি বন্ধ করে দিয়েছি। ভবিষ্যতে কঠোর নজরদারি রাখব যাতে এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।”
এলাকার এক বাসিন্দা, যিনি পরিচয় গোপন রাখতে চান, জানান, প্রতিদিন সকালে খুলনা থেকে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাস আসে। গাড়ি থেকে নেমে আসে রঙিন পোশাকে, ব্যাগ হাতে তরুণীরা। দূর থেকে দেখে অনেকেই ভাবে তারা শিক্ষার্থী, কিন্তু স্থানীয়দের ধারণা—তারা হোটেলে আসে দেহ ব্যবসার জন্য। সন্ধ্যার দিকে আবার ওই গাড়িই তাদের নিয়ে চলে যায়।
স্থানীয় ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। গত শুক্রবার গোবরা ইউনিয়নের এক দল মানুষ প্রতিবাদে সরব হন। তারা জানান, মাদক, অসামাজিক কার্যকলাপ বা চাঁদাবাজি—কোনো কিছুই এলাকাবাসী সহ্য করবে না। প্রয়োজনে প্রশাসনের সহায়তায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এবং হোটেলের অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি তুলেছেন।

