![]() |
| ছবি / সাঁথিয়ায় |
এম এ হাই,সাঁথিয়া প্রতিনিধি:
03-7-25
পৃথিবীকে পরিবেশবান্ধব এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায গাছের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু তাই বলে সব গাছই যে মানুষের জন্য উপকারী তা কিন্তু নয় বরং হতে পারে এর উল্টোটাও। ঠিক তেমনি আকাশমনি এবং ইউক্যালিপটাস পরিবেশের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকারক।
ইউক্যালিপটাস হলো এমন একটি গাছ যা মাটি থেকে অতিমাত্রায় পানি শোষণ করে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটায়। একটি ইউক্যালিপটাস গাছ তার আশপাশের প্রায় ১০ ফুট এলাকার ও ভূগর্ভের প্রায় ৫০ ফুট নিচের পানি শোষণ করে প্রস্বেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেয়। এই প্রক্রিয়াটি ২৪ ঘণ্টাই চলতে থাকে। ফলে দ্রুত মাটিতে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এতে করে এই গাছের নিচে ও আশেপাশে অন্যান্য প্রজাতির গাছও জন্মাতে পারে না। গাছটি মাটিকে শুষ্ক করে ফেলে। ফলে মাটির উর্বরতা কমে যায়।
অবাক করা বিষয় হচ্ছে- গাছটি কেটে ফেললেও মাটির উর্বরতা ফিরে আসতে দীর্ঘ সময় লাগে। এমনকি এর ফল ঝরে পড়লে সেখানে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দেয়। এই গাছের ফুল এবং পাপড়িগুলো বাতাসে ছড়িয়ে পড়লে মানুষের শ্বাসনালীতে ঢুকে শ্বাসকষ্ট এবং হার্টের অসুখ সৃষ্টি করে। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, বাংলাদেশের জলবায়ুর জন্য এই গাছ অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার সাঁথিয়ায় ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনির চারা গাছ ধ্বংস করা হয়েছে । আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাস গাছ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এই জন্য ধ্বংস করা হচ্ছে।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিজূ তামান্না জানান,সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সাঁথিয়ায় ইতোমধ্যে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনির কিছু চারা গাছ ধ্বংস করা হয়েছে।এতে করে নার্সারি মালিকদের কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে।যেসব নার্সারিতে এ ধরনের গাছের চারা আছে তাদের এ ক্ষতি
এড়াতে নার্সারির মালিকদের দেয়া হবে প্রণোদনা।

