স্টাফ রিপোর্টার সাদি
১১ সেপ্টেম্বর
সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ থেকে পাগলাবাজার পর্যন্ত দীর্ঘদিন ধরে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জমি দখল করে গড়ে উঠেছিল অসংখ্য দোকানপাট ও অস্থায়ী স্থাপনা। এতে একদিকে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছিল, অন্যদিকে পথচারীরাও পড়ছিলেন চরম দুর্ভোগে। সড়কের দুই পাশ দখল হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষকে মূল সড়ক ঘেঁষে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছিল।
হাইওয়ে পুলিশের একাধিক চিঠির পর অবশেষে নড়েচড়ে বসে সওজ কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের ৩ ও ৪ সেপ্টেম্বর টানা দুই দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এছাড়া সওজের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সিলেট রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম এবং জয়কলস হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে গড়ে ওঠা বহু দোকানপাট ও স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
তবে অভিযানের পরেই আবারও পুরনো জায়গায় ফিরে দোকান বসাতে শুরু করেছেন কিছু ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ী। তাদের অভিযোগ, পুনর্বাসনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জীবিকার তাগিদে তারা বাধ্য হচ্ছেন সেখানে ফেরত আসতে। এতে ফের দখলদারিত্বের আশঙ্কায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।এদিকে যানজট নিরসন ও যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ছাতকের জাউয়াবাজার এলাকায় একটি অস্থায়ী ট্রাফিক বক্স নির্মাণ শুরু করেছে হাইওয়ে পুলিশ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিয়মিত ট্রাফিক তদারকি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।হাইওয়ে পুলিশের সিলেট রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, “সড়ক জনসাধারণের জন্য। এখানে অবৈধ দখল কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। অভিযান চলমান থাকবে এবং পুনরায় দখল ঠেকাতে কঠোর নজরদারি থাকবে।”জনস্বার্থে এই অভিযান অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে পুনঃদখল রোধে কার্যকর ব্যবস্থা ও ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করা না হলে উদ্যোগটি স্থায়ী হবে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা রয়ে গেছে। তাই দখলমুক্ত সড়ক রক্ষার পাশাপাশি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।



