![]() |
সিলেটের জেলা প্রশাসক বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক |
সমাবেশে আরিফুল হক অভিযোগ করেন, জেলা প্রশাসক উদ্দেশ্যমূলকভাবে রাজনৈতিক বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছেন এবং বর্তমান অন্তবর্তী সরকারকে বিব্রত করতে কাজ করছেন। তিনি বলেন, “ডিসি মুরাদ পাথর কোয়ারি ও স্টোন ক্রাশার মিল বন্ধ করে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নষ্ট করছেন। কোনো আলোচনা কিংবা পূর্বনোটিশ ছাড়াই বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণের সঙ্গে চোখ রাঙিয়ে কথা বলা যাবে না। আপনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, কারো লোক নন। সিলেটবাসীকে অপমান করবেন না। যদি ৫ জুলাইয়ের মধ্যে ডিসিকে প্রত্যাহার না করা হয়, তবে আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।”
ডিসি মুরাদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে—জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালের মার্কেট উচ্ছেদ, বৈধ ব্যবসায়ীদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের উপেক্ষা করে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব কার্যক্রমই মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং আইনগত ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। ডিসি মুরাদ বলেন, “পাথর কোয়ারির বিষয়টি, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ এবং সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের আওতায় উচ্ছেদ—সবই নিয়ম মেনে হচ্ছে। হঠাৎ করে আমার অপসারণ চাওয়া দুঃখজনক।”
এই কর্মসূচিকে আরিফুল ‘ব্যবসায়ীদের অধিকার আদায়ের’ আন্দোলন দাবি করলেও মহানগর বিএনপি জানিয়েছে, এটি সম্পূর্ণভাবে তার নিজস্ব উদ্যোগ। তারা দলীয়ভাবে এতে সম্পৃক্ত নয়।
সমাবেশে পরিবহন শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন এবং হুঁশিয়ারি দেন, শুক্রবারের মধ্যে ডিসিকে অপসারণ করা না হলে শনিবার থেকে সিলেটের সকল সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এ ঘটনার পর সিলেটজুড়ে প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।