ছাতকে হাইওয়ে থানার উদ্যোগে নিরাপদ মহাসড়ক ব্যবস্থাপনা ও দূর্ঘটনা রোধকল্পে মতবিনিময়


প্রকাশিত:


ছবিঃ ছাতক হাইওয়ে পুলিশ 

ছাতক প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জের ছাতকে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের নিরাপত্তা জোরদার ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে হাইওয়ে থানার উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৯ জুলাই (বুধবার) বিকেল ৩টায় ছাতকের ধারণবাজার এলাকায় জয়কলস হাইওয়ে থানা প্রাঙ্গণে এ সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশ সিলেট রিজিয়নের সম্মানিত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, “নিরাপদ মহাসড়ক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা শুধু পুলিশের একক দায়িত্ব নয়, এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল পরিবহন মালিক, চালক ও যাত্রীদের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া দুর্ঘটনা প্রতিরোধ সম্ভব নয়।” তিনি আরো বলেন, “হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান, সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাওয়া হবে।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাইওয়ে সিলেট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মির্জা মো. সাইজুদ্দিন বলেন, “সড়ক নিরাপত্তায় সচেতনতা বাড়াতে হবে। অতিরিক্ত যাত্রী বহন, ওভারটেকিং, লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন জয়কলস হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার চৌধুরী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সার্জেন্ট সম্রাট।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—সিলেট কুমারগাঁও বাস পরিচালনা কমিটির সভাপতি রনজয়, সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন (১৬৯৩) সুনামগঞ্জ জেলার সভাপতি সুহেল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ রাসেল আহমদ, ছাতক মুফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মুশাহিদ আলী, ধারণ উপ-শাখার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মিদুল মিয়া, সদস্য আবদুর রহিম, জাউয়াবাজার উপ-শাখার সভাপতি ঝুমুন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক, গোবিন্দগঞ্জ অটো রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রবিউল হাসান নয়ন, জাউয়াবাজার মাইক্রোবাস শাখার সভাপতি তাসলিম খান ফরিদ এবং জুয়েল রানা প্রমুখ।

প্রারম্ভে পবিত্র কালামে পাক থেকে তেলাওয়াত করেন ধারণ নতুনবাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা কুতুব উদ্দিন সালেহী।

সভায় অংশগ্রহণকারীরা মহাসড়কে চলাচলের সময় ট্রাফিক আইন মেনে চলা, হেলমেট ও সিটবেল্ট ব্যবহার, ট্রাফিক সংকেত মানা এবং অতিরিক্ত গতি ও যাত্রী বহন না করার ওপর জোর দেন। বক্তারা বলেন, যানজট ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চালকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক সভার আয়োজন বাড়াতে হবে।

সভা শেষে নিরাপদ মহাসড়ক গঠনে সকল পক্ষের সমন্বয়ে একটি পরিকল্পনাও প্রণয়ন করা হয়। স্থানীয় জনসাধারণ এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানায় এবং ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।