ক্রীড়া প্রতিবেদক, তৌফিক ওমর তানভীর
![]() |
ছবিঃ হৃদয়-সাকিব |
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ দল। দলীয় পারফরম্যান্স প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলেও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে নজর কেড়েছেন বেশ কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড়। এর প্রভাব পড়েছে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়েও, যেখানে দেখা গেছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি।
এই সিরিজে সবচেয়ে আলোচিত ও প্রশংসিত খেলোয়াড় ছিলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জাকের আলি অনিক। তিন ম্যাচেই দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। প্রথম ম্যাচে ৬৪ বল মোকাবিলা করে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ২৪ ও শেষ ম্যাচে ২৭ রানে থামলেও উইকেট ধরে রাখার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ধারাবাহিক এই পারফরম্যান্সের ফলস্বরূপ জাকের আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে ৩২ ধাপ এগিয়ে বর্তমানে ৫৯তম স্থানে পৌঁছেছেন, যা তার ক্যারিয়ারের জন্য বড় অনুপ্রেরণা।
তাওহিদ হৃদয়ও এই সিরিজে ফিরে পেয়েছেন নিজের ছন্দ। প্রথম ম্যাচে রান না পেলেও পরের দুই ম্যাচে টানা দুটি হাফ-সেঞ্চুরি করে আবারও নিজেকে প্রমাণ করেছেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে তিনি করেন যথাক্রমে ৫১ ও ৫১ রান। এই ধারাবাহিকতা তাকে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে দিয়েছে, যদিও তার নির্দিষ্ট অবস্থান উল্লেখ করা হয়নি।
তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমও প্রথম ওয়ানডেতে ৬১ বলে ৬২ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে নজরে আসেন। এই পারফরম্যান্স তাকে র্যাঙ্কিংয়ে ১৯ ধাপ এগিয়ে ৮৫তম স্থানে নিয়ে গেছে।
অন্যদিকে, কিছু অভিজ্ঞ ব্যাটারের পারফরম্যান্স হতাশাজনক হওয়ায় তাদের র্যাঙ্কিংয়ে পতন ঘটেছে। লিটন দাস ৮ ধাপ পিছিয়ে এখন রয়েছেন ৭৮তম স্থানে। একইভাবে, নাজমুল হোসেন শান্ত ৬ ধাপ পিছিয়ে বর্তমানে ৩৪ নম্বরে অবস্থান করছেন। এই অবনতি দলের ব্যাটিং অস্থিরতারই প্রতিফলন।
বোলিং বিভাগে সবচেয়ে বড় আলোড়ন তুলেছেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। তিন ম্যাচে ৬টি উইকেট নিয়ে দারুণ ইম্প্রেশন তৈরি করেছেন তিনি। ধারাবাহিক লাইন ও লেংথে বল করে সিরিজজুড়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের চাপে রেখেছেন। এর পুরস্কার হিসেবে র্যাঙ্কিংয়ে ১৮ ধাপ এগিয়ে তিনি উঠে এসেছেন ৯২তম স্থানে।
আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ ধারাবাহিকতার ফল হিসেবে দুই ধাপ এগিয়ে ২৬ নম্বরে উঠেছেন। তবে মুস্তাফিজুর রহমান তার র্যাঙ্কিং ধরে রাখতে পারেননি। সিরিজে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স না থাকায় তিনি ১১ ধাপ পিছিয়ে এখন ৪৬তম স্থানে।
যদিও বাংলাদেশ দল সিরিজ জিততে পারেনি, তবে এই সিরিজ থেকে ভবিষ্যতের জন্য কিছু ইতিবাচক দিক স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে জাকের, হৃদয়, তানজিমদের পারফরম্যান্স দলকে সামনের দিনে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। তরুণদের এই উত্থান ভবিষ্যতের জন্য আশাজাগানিয়া বার্তা বয়ে এনেছে।