সব বোর্ডে পিছিয়ে থাকলেও সিলেট বোর্ডে এগিয়ে ছেলেরা


প্রকাশিত:
ছবিঃ ডিজাইন



এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, পাসের হার কমেছে ১৪ শতাংশের বেশি

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে। সারাদেশে গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ কম।


সব শিক্ষাবোর্ডে মেয়েরা সামগ্রিকভাবে পাসের হারে এগিয়ে থাকলেও ব্যতিক্রম ছিল সিলেট বোর্ড। সেখানে ছেলেদের পাসের হার ৬৮ দশমিক ৬২ শতাংশ, আর মেয়েদের পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। সিলেট বোর্ডে মোট পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।


জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও মাদরাসা বোর্ডে ছেলেরা এগিয়ে রয়েছে। কুমিল্লা বোর্ডে ৬.৩১ শতাংশ ছাত্র ও ৫.৬২ শতাংশ ছাত্রী, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮.৯০ শতাংশ ছাত্র ও ৮.০৭ শতাংশ ছাত্রী এবং মাদরাসা বোর্ডে ৩.৩২ শতাংশ ছাত্র ও ৩ শতাংশ ছাত্রী সর্বোচ্চ গ্রেড অর্জন করেছে।


এবছর মোট ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়, যার মধ্যে পাস করেছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন। পাসের দিক থেকে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে – ৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ ব্যবধানে। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী, যার মধ্যে ৭৩ হাজার ৬১৬ জন ছাত্রী ও ৬৫ হাজার ৪১৬ জন ছাত্র।


আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির মতে, এবার ফলাফল নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে, ফলাফল ‘ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে’ দেখানোর কোনো প্রচেষ্টা হয়নি। এর ফলে পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কমেছে।


৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে রাজশাহী বোর্ড সবচেয়ে এগিয়ে – পাসের হার ৭৭.৬৩ শতাংশ। সবচেয়ে কম পাসের হার বরিশাল বোর্ডে – মাত্র ৫৬.৩৮ শতাংশ। অন্য বোর্ডগুলোর মধ্যে ঢাকায় ৬৭.৫১ শতাংশ, কুমিল্লায় ৬৩.৬০ শতাংশ, যশোরে ৭৩.৬৯ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭২.০৭ শতাংশ, সিলেটে ৬৮.৫৭ শতাংশ, দিনাজপুরে ৬৭.০৩ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫৮.২২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।


মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৬৮.০৯ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে এই হার ৭৩.৬৩ শতাংশ। তবে এবার ১৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কেউই পাস করতে পারেনি, বিপরীতে ৯৮৪টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।


উল্লেখযোগ্য যে, গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক শূন্য চার শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। তুলনায় এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৩ হাজার ৯৭ জন কম।